Keep and Share logo     Log In  |  Mobile View  |  Help  
 
Visiting
 
Select a Color
   
 
শ্রীলঙ্কা হবে না বাংলাদেশ

Creation date: Nov 29, 2022 6:34am     Last modified date: Nov 29, 2022 6:34am   Last visit date: Dec 7, 2024 11:59am
1 / 20 posts
Nov 29, 2022  ( 1 post )  
11/29/2022
6:34am
Santo SEo (seosanto7)

যে যতই বলুক বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হইয়া যাবে, কিসের শ্রীলঙ্কা? আমরা কৃষক আছি না। আমরা কৃষকরা মাঠে আছি। মাটিকে ঘুষ দিতে হয় না। মাটির সাথে পরিশ্রম করলে, মাটি আমাদের সাথে কথা বলে। আমাদের অভাব নেই। আমাদের ঘরে টাকা আছে, আমি মনে করি কৃষকের ঘরে টাকা আছে। আমরা কৃষকরা নেতৃত্ব দিব। খাদ্যের জন্য আমাদের ভিক্ষা চাওয়া লাগবে না। আমরা উৎপাদন করতে পারি। খাদ্যের অভাব হবে না বাংলাদেশে। আমাদের হাতে বল আছে, আমাদের ক্ষমতা আছে।

আমি মনে করি আমরাই পারব বাংলাদেশ জয় করতে, প্রধানমন্ত্রীই পারবেন বাংলাদেশ জয় করতে, আমরা কৃষকরা তার সাথে আছি। আমরা বাড়িও চাইব না, গাড়িও চাইব না, টাকাও লাগবে না, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ কৃষকদের দিকে খেয়াল রাখবেন। কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করবেন, বিদেশে রফতানি করার ব্যবস্থা করবেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত নুরুন্নাহার কৃষি খামারের স্বত্বাধিকারী মোছা. ইুরুন্নাহার বেগম গত ২৭ জুলাই ২০২২ তারিখে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা-২০২০’ প্রাপ্তির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এ কথাগুলো বলেছেন। মোছা. ইুরুন্নাহার বেগমের বক্তব্যে বাংলাদেশের কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্র, মনোবল উৎপাদনে সক্ষমতা ও সফলতার চিত্র ফুটে উঠেছে।

 

তিনি বলেছেন, আমরা কৃষকরা এখন আর সেই কৃষক নাই। আমাদের পোশাক এখন অন্যদের মতোই। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমীন তার অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, কৃষক এখন আর পাখির রব শুনে রাত পোহানোর সঙ্গে সঙ্গে গরু আর লাঙ্গল-জোয়াল নিয়ে মাঠে যান না। সূর্যাস্ত পর্যন্ত মাঠে হাড়ভাঙা খাটুনিতে ব্যস্ত থাকেন না। অধিকাংশ কৃষকের গায়ে এখন আর ছেঁড়া লুঙ্গি দেখা যায় না। বর্তমান কালের কৃষকের পরনে থাকে ফুল প্যান্ট ও টি-শার্ট এবং পায়ে জুতা বা স্যান্ডেল। চৈত্র-বৈশাখের প্রখর রৌদ্রে পুড়ে আউশ ও আমন ধান বা পাটের বীজ বপনের জন্য তাদের গরু টানা কাঠের লাঙলে জমি কর্ষণ করতে দেখা যায় না। মুগুর দিয়ে জমিতে ঢেলা ভাঙা, জমির উর্বরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাঁধে ঝুলিয়ে বা মাথায় টোপরভর্তি গোবর-খড়কুটা পরিবহন ও তা মাঠে ছড়ানো আজ অদৃশ্য।

 

আরও জানুনঃ

 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, এলসি খোলা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই 

বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন,     কৃষকদের জন্য ১৩৭ কোটি টাকার সরকারি প্রণোদনা

বাংলাদেশের শিক্ষার উন্নয়ন, সরকারি চাকরির আবেদনে বয়সে ৩৯ মাস ছাড় পেলো চাকরিপ্রার্থীরা

বাংলাদেশের প্রযুক্তি উন্নয়ন, ৬৪ জেলার ৬ শতাধিক থানা আসছে সিসি ক্যামেরার আওতায়

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য উন্নয়নসরকারি হাসপাতালে হবে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা

বাংলাদেশের রাজনীতি,       ব্যাংকে টাকা নেই গুজব, নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র

বাংলাদেশের রাজনীতির আপডেট, ইনডেমনিটি ঘৃণিত ষড়যন্ত্রের কালো অধ্যায়   



বোরো ধানের জমিতে সেওতি দিয়ে পানি সেচের দৃশ্য কল্পনাতীত। এখন আর পাট ও আউশ এবং আমন ধানের জমিতে নিরানি দিয়ে আগাছা দমন করতে দেখা যায় না। সর্বত্র কলের লাঙল, নিড়ানি ও সেচযন্ত্র এবং ফসল কর্তন, মাড়াই-ঝাড়াই যন্ত্রের সমারোহ। বিকাল ৪টার পর সাধারণত কৃষককে মাঠে দেখা যায় না। তারা বিকালে গ্রামের বাজারে গড়ে ওঠা দোকানে বসে ফুরফুরে মেজাজে চা, বা কোমলপানীয় পান করেন, টেলিভিশন দেখেন ও রাজনৈতিক আড্ডায় লিপ্ত হন।



গ্রামীণ কৃষাণীর ফসলের মাড়াই-ঝাড়াই, বিনিদ্র রজনীতে ধান সেদ্ধ, রোদে ধান শুকানো ও কাঠের ঢেঁকিতে ধান ভানতে হয় না। গৃহস্থালিকাজে নিয়োজিত বছরি কামলা বা ঠিকা কামলার আহার জোগাতে তাদের বিশাল পাত্রে রান্নার কাজ অদৃশ্য। কৃষাণীরা এখন আর গরু-মহিষের খাবারের চাড়ি পরিষ্কার, চাড়িতে পানি দেয়া, গোয়ালঘর ও গোশালা ঝাড়ু দেয়া ও গোবর শুকিয়ে জ¦ালানি তৈরি করেন না। এমনকি খড়কুটা বা গাছের পাতা শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতেও তেমন একটা দেখা যায় না। অনেক কৃষাণী এখন গ্যাসের চুলায় রান্না করেন। ভোরবেলা ও বিকালে তাদের এখন প্রাণবন্ত মনোভাবে সবুজে আচ্ছাদিত গ্রামীণ পাকা রাস্তায় পদচারী ও আড্ডায় মেতে উঠতে দেখা যায়।



শীত নিবারণে কৃষক পরিবারে পুরনো ও জীর্ণ শাড়ি বা লুঙ্গি দিয়ে নির্মিত কাঁথার জায়গা দখল করে নিয়েছে জমকালো চাদর আর চিকচিকে কম্বল ও রকমারি নকশার কাঁথা। তাই কৃষাণীরা এখন আর শরতের বৃষ্টিস্নাত দিনে কাঁথা সেলাইয়ে আগ্রহী নন। গ্রীষ্মের খরতাপে বিদগ্ধ হয়ে কৃষাণীকে খেসারি, ছোলা ও মুগডাল মাড়াই-ঝাড়াইকরণ এবং ক্লান্ত-অবসন্ন দেহের ফুসরত নিতে আম্রবৃক্ষতলে বসে পান চিবোতে দেখা যায় না। প্রকারান্তরে তারা বৈদ্যুতিক পাখার সুশীতল হওয়ায় বসে টেলিভিশনে ডিশ অ্যান্টেনার সুবাদে ভারতীয় চ্যানেলে নিয়মিত সিরিয়াল দেখেন।



কৃষকের সন্তান এখন উৎসব-আনন্দে স্কুলগামী। সরকারি উপবৃত্তির সুবাদে স্কুলের প্রতিটি শিশুর গায়ে থাকে পোশাক, পায়ে শোভা পায় রঙিন ও ঝকঝকে জুতো। শিশুরা বই আর টিফিন বহন করে পিঠে ঝোলানো ব্যাগে। গৃহিণী মা তার সন্তানের হাত ধরে নিয়মিত স্কুলে নিয়ে যান। তারা এখন সন্তানের পড়ালেখা ও ভবিষ্যৎ জীবন গড়ার কাজে ব্যতিব্যস্ত। কৃষি ও কৃষক পরিবারের এ উল্লেখযোগ্য কাক্সিক্ষত ও ইতিবাচক পরিবর্তনের দিশারি প্রধানমন্ত্র শেখ হাসিনা। তার সরকারের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আজ কৃষক ও কৃষাণীর মুখে হাসি এবং প্রাণে আনন্দের উচ্ছ্বাস। পরিশ্রমী কৃষক এবং মেধাবী কৃষিবিদদের গবেষণা ও মন্ত্রণালায়ের সম্প্রসারণ কর্মসূচির প্রয়াসেই এ সাফল্য।



আরও জানুনঃ

 

কৃষি উন্নয়ন,              আখের ৪৮ জাত উদ্ভাবন ফলনও অনেক বেশি  

শিল্প উন্নয়ন,              বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ পোশাক কারখানার দেশ বাংলাদেশ

প্রযুক্তিগত উন্নয়ন,     কারাগারে নারী বন্দীদের দেয়া হচ্ছে সেলাই প্রশিক্ষণ

২৫তম বৃহৎ অর্থনীতিঢাকায় চালু হচ্ছে পাসপোর্টের দুটি আবেদন সেন্টার

৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশনওগাঁয় হাজার কোটি টাকার টুপি রপ্তানি 



গত সোমবার ১ আগস্ট ২০২২, ইকোনমিক টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনা মহামারির মধ্যে বিশ্বের অনেক দেশ আর্থিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকলেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল জোরালো। আবার চলতি বছরের শুরু থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ভুগতে শুরু করেছে বিশ্বের বহু দেশ। তবে আঞ্চলিক ভূ-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও নিজেদের অর্থনীতি স্থিতিশীল রেখেছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় পার করে বাংলাদেশ নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। উৎপাদন খাতের বিস্তৃত ভিত্তি এবং অবকাঠামো প্রকল্পে উদ্দীপনাসহ এটি এশিয়ার জন্য একটি শক্তিশালী অর্থনীতি হতে পারে।



স্বাধীনতার ৫১ বছরে বাংলাদেশে কৃষির অগ্রযাত্রা সারা বিশ্বের বিস্ময়। এই সাফল্যের পরিকল্পনা তৈরি করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, কৃষিপ্রধান দেশে কৃষির সম্পূর্ণ বিকাশ ও উৎকর্ষ ব্যতিরেকে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনে তিনিই কৃষি বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘... আমার মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার গ্যাস আছে, আমার চা আছে, আমার ফরেস্ট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে, যদি ডেভেলপ করতে পারি এইদিন আমাদের থাকবে না।’



এই ডেভেলপমেন্টের জন্য কৃষির গবেষণার গুরুত্ব অনুধাবন কওে মেধাবী শিক্ষার্থীদের কৃষিশিক্ষায় আকৃষ্ট করতে ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে চাকরি ক্ষেত্রে কৃষিবিদদের মর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেন। জাতির জনক প্রদত্ত সেই মর্যাদা এ দেশের কৃষিবিদ সমাজে আজো সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত করে। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন ছাড়া কিছুতেই সোনার বাংলা গড়া সম্ভব নয়। তাই বঙ্গবন্ধু তার শাসনামলে কৃষি খাতকে সচল ও মজবুত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে গ্রহণ করেছিলেন বিপুল কাঠামোগত ও নীতিগত সংস্কারের উদ্যোগ। কিন্তু হায়েনার দল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করতে দেয়নি।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালো রাতে স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্তে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে শাহাদত বরণ করলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘদিন নির্বাসিত জীবনযাপন করে মাতৃভূমিতে ফিরে এলেন স্বজনহারা বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব হাতে নেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে কৃষির উন্নয়ন, তিনি যুগোপযোগী নীতি প্রণয়ন করেন এবং বান্তবায়ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। কৃষিবিদ ও কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে কৃষিতে। এককালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক শত্রুরা যেই বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে বিদ্রুপ করেছিল, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশে অভাবনীয় খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ।



আরও জানুনঃ 

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,      রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে বদলে গেছে ঈশ্বরদী

সরকারের রুপকল্প ২০২১, ডিজিটাল জীবনযাত্রার বৈশ্বিক সূচকে ২৭ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের উন্নয়ন,          সারাদেশে একসাথে ১০০টি সেতু উদ্বোধন উন্নয়নের নতুন মোচন 

ডিজিটাল বাংলাদেশ,          স্নায়ুতন্ত্র রোগে আক্রান্ত শিশুরা পাবে জিন থেরাপি চিকিৎসা

কৃষিতে অর্জন,                দেশের বাঁধাকপি রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের কয়েকটি দেশে | বাঁধাকপি রপ্তানি  

 

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, জনসংখ্যা আধিক্য, আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ হ্রাস ইত্যাদি চ্যালেঞ্জের মুখেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার নিরাপদ খাদ্য ও আমিষের চাহিদা পূরণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন গবেষণায় উচ্চ ফলনশীল, লবণাক্ততা ও পরিবেশ সহিষ্ণু নতুন জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে দ্রুত সম্প্রসারণ করেছে। উৎপাদন বাড়াতে কৃষিবান্ধব প্রধানমন্ত্রী কৃষকের সহায়তায় আর্থিক প্রণোদনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করেছেন। সার, বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ নামেমাত্র মূল্যে বা কখনো কখনো বিনামূল্যে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রের ব্যবহার, ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রচলন, কৃষির উন্নয়ন নবদিগন্তের সূচনা করেছে।



বৈশ্বিক সংকট রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সারাবিশ্বে সারের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও কৃষি মন্ত্রণালয় আর্থিক ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সার সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থা কৃষি ভর্তুকি না দিতে পরামর্শ দিলেও কৃষকবান্ধব নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এটা ভর্তুকি নয়, বিনিয়োগ।’ বাংলাদেশে কৃষির ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে, ভর্তুকি দিয়ে সার সরবরাহ নিশ্চিত করার ফলে শস্য উৎপাদন অব্যাহত ছিল বলেই করোনাকালে খাদ্যাভাব দেখা দেয়নি।



২০২০ সালে বৈশ্বিক অতিমারি করোনা সংকটকালে ‘ডব্লিউএফপি’ অনুমান করে বলেছে, করোনা প্রতিরোধে লকডাউনের কারণে শুধু শিল্প নয়, কৃষিতেও উৎপাদন কম হবে, ফলে বিশ্বে ৩ কোটি মানুষ অনাহারে মারা যেতে পারে। ডব্লিউএফপিএর ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত করে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেসময়ে বলেছিলেন, ‘করোনা ও বন্যা যাই হোক না কেন, খাদ্য সংকট হবে না বাংলাদেশে।’

 

শত সেতু উদ্বোধন 

যানবাহন চলাচলের জন্য একসাথে ১০০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সরকার ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০০টি সেতু নির্মাণ করেছে। সেতুগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ময়মনসিংহে ৬টি, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে ৫টি করে, ঢাকায় ২টি ও কুমিল্লায় একটি রয়েছে। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যাতায়াতের সময় কমিয়ে সড়ক যোগাযোগকে নিরবচ্ছিন্ন ও সহজ করার পাশাপাশি সেতুগুলো দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

 

আরও জানুনঃ 

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান ,       নভেম্বর থেকে রাজশাহী কক্সবাজার রুটে চালু হচ্ছে বিমান 

বাংলাদেশের ভ্রমণ স্থান,            ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরাও হজে যেতে পারবেন

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান , দামি মসলা জাফরানের চাষ পদ্ধতির উদ্ভাবন বাংলাদেশে

রাজশাহীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য  , বিশ্ব সেরা র‌্যাংকিংয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য , এক নজরে বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ঘেরা পদ্মা পাড়ের শহর রাজশাহী 

বাংলাদেশী ফুড রিভিউ ,        খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ ১০-এ বাংলাদেশ

বাংলাদেশী স্ট্রিট ফুড  ,         রাজশাহীর আদালত চত্বরে কালাই রুটি 

Rajshahi Foodies  ,           রাজশাহীর বানেশ্বর হাট যেন দেশের বিখ্যাত এক আমের হাট

Natore Foodies  ,               ৭২ বছর বয়সে এখনো তরুণ রাজশাহীর এই বডিবিল্ডার 



অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫০ কারখানা-অবকাঠামো উদ্বোধন

স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ২০ নভেম্বর অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) ৫০টি শিল্প কারখানা, প্রকল্প ও অন্যান্য অবকাঠামো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

 

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বেজার ৮টি স্থানে ভার্চুয়ালি ৫০টি শিল্প কারখানা, প্রকল্প ও স্থাপনা উদ্বোধন করবেন।

 

এগুলোর মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের (বিএসএমএসএন) ৪টি বাণিজ্যিক কারখানা এবং বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলের ৮টি কারখানা। 

 

পরিকল্পিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সরকার এখন পর্যন্ত ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ২৮টির কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত ১২টি বেসরকারি মালিকানাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়পত্র পেয়েছে এবং এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।

১ কোটি লোকের সরাসরি ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর লক্ষ্য। এছাড়াও এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বছরে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য উৎপাদন ও রফতানি হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগকারীরা কর অবকাশ এবং শুল্কমুক্ত কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানির সুবিধা পাবেন।

অর্থনৈতিক অঞ্চলটিগুলো জাপান, চীন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, আমেরিকা, ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও নরওয়েসহ বিভিন্ন দেশের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে।

 

আরও জানুনঃ

নাটোর 

রাজশাহী

পাবনা 

নওগাঁ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ 

 

১০টি মেগা প্রকল্প, নতুন বাংলাদেশকে দেখছে বিশ্ব

রাজধানীতে বাসে ই টিকেট পদ্ধতি চালু

বিশ্বের ২৫টি ঐতিহ্যের তালিকায় মসজিদের শহর বাগেরহাট

ভ্যানিলা মসলার চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা

নতুন জাত উদ্ভাবনে বাড়ছে গম ও ভুট্টার আবাদ

নিরাপদ শাক সবজির জন্য চালু হয়েছে কৃষকের বাজার 



Know more:

Natore

Rajshahi

Pabna

Naogaon

Chapai nawabganj  

 

বাংলাদেশের তৈরি টি শার্টে কাতার বিশ্বকাপ মাতাবে মেসি নেইমাররা | Qatar World Cup 2022 | Fifa jersey

কাতার বিশ্বকাপ ফ্লাগ প্লাজায় পতাকায় বিশ্বের সামনে বাংলাদেশ | Qutar World Cup 2022 | FIFA | BD FLAG


Know more about Bangladesh: Bangladesh trend news, Bangladesh news, Bangladesh trends, Bangladesh daily newsBangladesh politics, Bangladesh Politics Update